কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক মসজিদের নাম পাগলা মসজিদ। এ মসজিদটিতে আটটি লোহার বানানো দান সিন্দুক রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এবারও মাত্র তিন মাসে মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ১২ বস্তা টাকাসহ বিদেশি মুদ্রা ও সোনাদানা।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় মসজিদের বিভিন্ন স্থানে রাখা লোহার দানবাক্স খোলা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা টাকা গণনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা জানান, সারাদিন গণনা শেষে বিকেল নাগাদ টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয় গণনার কাজে।

পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন। নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া যায়, চাল, ডাল, গবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হয় মসজিদের ব্যাংক একাউন্টে।

মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়।

জানা গেছে, ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পানিতে মাদুর পেতে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। সেই থেকে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি এই মসজিদটি।